আমার
এক মামা গত বছর
মদিনা শরীফ থেকে ফিরে
এসে বলছিলেন, "ভাতিজা, মদিনা এমন একটা জায়গা
যেখানে পা রাখলেই মনে
হয় সব কিছু থেমে
গেছে। যেন সময় থমকে
আছে নবীজির যুগে।" তার কথা শুনে
বুঝলাম, মদিনা শুধু একটা শহর
না, এটা হৃদয়ের একটা
টান।
মদিনা
শরীফের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছেন, "যে আমার কবর
জিয়ারত করবে, আমি তার জন্য
কিয়ামতের দিন সুপারিশ করব।"
এই কথাটাই যথেষ্ট মদিনার মাহাত্ম্য বোঝার জন্য। মদিনা মানেই আল্লাহর রাসূলের ভালোবাসা। মামা বলছিলেন, প্রতিটি
নামাজে, প্রতিটি দোয়ায় আত্মা নরম হয়ে যেত।
জিয়ারতের
স্থানসমূহ
মসজিদে
নববী
মদিনায়
প্রথমেই যাবেন মসজিদে নববীতে। এটা ইসলামের দ্বিতীয়
পবিত্র মসজিদ। এখানে নামাজ পড়লে হাজার গুণ বেশি সওয়াব
হয়। মামা বলছিলেন, মসজিদের
সবুজ গম্বুজ দেখে কান্না চলে
এসেছিল।
রওজাহ
মুবারক
মসজিদের
ভেতরে রওজা মুবারক আছে,
যেটা নবীজির কবরের কাছের জায়গা। এখানে সালাম দেওয়ার সুযোগ পাবেন। মামা বলছিলেন, জীবনে
এমন শান্তি আর কখনো পাননি।
উহুদ
পর্বত
উহুদ
পর্বত দেখতে যেতে পারেন। এখানেই
হযরত হামজা (রাঃ) শহীদ হয়েছিলেন।
জায়গাটা দেখলে ইতিহাস যেন জীবন্ত হয়ে
ওঠে। মামা বলছিলেন, পর্বতের
সামনে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল সাহাবীরা
যেন এখনো আছেন।
কুবা
মসজিদ
কুবা
মসজিদ ইসলামের প্রথম মসজিদ। নবীজি নিজে এখানে নামাজ
পড়তেন। এখানে দুই রাকাত নামাজ
পড়লে উমরাহর সমান সওয়াব হয়
বলে হাদিসে আছে।
কিবলাতাইন
মসজিদ
কিবলাতাইন
মসজিদও একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
এখানেই নামাজের কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কাবার দিকে
পরিবর্তন হয়েছিল। ইতিহাসের একটা বড় মুহূর্ত।
জিয়ারতের
সময় করণীয়
জিয়ারত
করার সময় কিছু বিষয়
মাথায় রাখবেন। নম্রতা রাখবেন, জোরে কথা বলবেন
না। নবীজির প্রতি সালাম দেবেন শান্তভাবে। নামাজ পড়ার সময় মনোযোগ রাখবেন।
ছবি তোলা বা ভিডিও
করা থেকে বিরত থাকবেন,
এগুলো নিষেধ। মামা বলছিলেন, অনেকে
ছবি তুলতে গিয়ে ইবাদতের মূল মজাটাই হারিয়ে
ফেলে।
শেষ
কথা
মদিনা
ভ্রমণ শুধু একটা ট্যুর
না, এটা আত্মার খোরাক।
মামা বলছিলেন, মদিনায় কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে। Shatabdi Aviation আপনার এই জিয়ারত সফরকে
করবে আরও সহজ, নিরাপদ
ও স্মরণীয়।
Cart is empty